শাহরিয়ার রিয়ন:
হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক মুখোশের আড়ালে থাকা হিংস্র দেশবিরোধী রাজনৈতিক দল। যারা ধর্ম কে পুঁজি করে ব্যাবসা করে।
হেফাজতে ইসলাম কি সত্যিই ইসলাম কে হেফাজত করে? নাহ, একদম না। তারা দেশবিরোধী, জঙ্গীদের হেফাজত করে। তারা বাংলাদেশে থাকা পাকিস্থানী ভাবধারার প্রো-পাকিস্থানিদের হেফাজত করে। হেফাজত ইসলাম নামক দলটির জন্ম হাট হাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আহমদ শফীর হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধীতা করার মধ্য দিয়ে ২০১০সালের ১৯জানুয়ারী।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই ছিলো বাংলাদেশের জন্যে যা কিছু কল্যাণকর তার বিরোধীতা করা। ২০১৩ সালের ৫ মে তাদের ডাকা লংমার্চে সরকারের জন্যে রাখা ১৩দফা দাবীতে তা স্পষ্ট হয়। আসুন দেখে নেই তারা কি চায়? কোন বাংলাদেশ চায়? বাংলাদেশ কে কোথায় নিয়ে যেতে চায়।
তারা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির বিলুপ্তি চায়, তারা ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থা চায়, তারা নারী উন্নয়নের বিরোধীতা করে, তারা নারীদের ঘরে বন্দী করে রাখতে চায়, তারা তাদের ভাষায় কথিত নাস্তিক, ব্লগারদের ফাঁসি চায়, তারা ব্যাক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ চায়, তারা চায় কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করে এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে, তারা ভাস্কর্যের বিরোধীতা করে, তারা মুর্তির বিরোধীতার মধ্যদিয়ে হিন্দুধর্মালম্বীদের উপাস্যের বিরোধীতা করে, তারা খ্রিষ্টান মিশনারীদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়। তাদের চাওয়া এই প্রত্যেকটি দাবীই অনৈতিক এবং দেশের সার্বভৌম বিরোধী।
কারন ১৯৭১ সালে আমাদের এই দেশটি কোনো ধর্মযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়নি, স্বাধীন হয়েছিলো একটি জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যেই স্বাধীনতার মুল উদ্দেশ্যই ছিলো ধর্ম-বর্ন, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষ যেনো তাদের মত করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে। অথচ তারা বাংলাকে আফগান বানাতে চায়, ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, সোনার বাংলা কে অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চায়। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার আমাদের দেশের অনেক মানুষ তাদের ধর্মীয় লেবাসের আড়ালে থাকা হিংস্র রুপটাকে চিনতে না পেরে তাদের কে সমর্থন করে। যা আমাদের সোনার বাংলার জন্যে একটি অশনিসংকেত। তাই আমরা যারা আমাদের সোনার বাংলাকে আফগান হতে দিতে চাই না আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ এই ধর্মব্যাবসায়ীদের প্রতিহত করা, বাংলার মানুষ কে সচেতন করা, হেফাজতে ইসলামের মত একটি জঙ্গী সংগঠন কে প্রতিহত করা। হেফাজত ইসলাম নিপাত যাক। মুজিব আদর্শে আমাদের বাংলা হয়ে উঠুক একটি আদর্শিক সোনার বাংলা।
যেখানে থাকবে না ধর্মের নামে কোনো হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি। বাংলা নতুন বছরে একজন বাঙালী হিসেবে এতোটুকুই চাওয়া।
চমৎকার বিশ্লেষন। 🙂