More

    হৃদয়ে বহমান – পিতা শেখ মুজিবুর রহমান

    আল- মাহমুদ কায়েস :

    বাঙালি জাতির জীবনে আগস্ট এক রক্তাক্ত শোকাবহ বেদনাবিধুর মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; যাকে ছাড়া বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায়না। যেনো বাংলাদেশের সার্থক সমার্থক শব্দের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    যিনি এই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নিজের জীবনের সমস্ত আনন্দ জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন। ৪৮, ৫২, ৬২, ৬৯,৭১ এ বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছিলেন তা নিতান্তই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে সুবিশাল ভূমিকা রেখেছিলো।

    বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাজীবনে ১৩ বছর জেল খেটেছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন নেতাই এত সংখ্যকবার জেল খাটেননি। তাইতো, তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃসাহসিক সন্তান।

    যিনি শুধু দেশ-মাটি-মাকে ভালোবেসে কণ্টকাকীর্ণ জীবন পার করে দিয়েছেন। আর বাঙালি কি তার প্রতিদান দিয়েছে? দেশ স্বাধীন হবার মাত্র চার বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে কিছু বিপথগামী বাঙালি। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যা করেছে বাঙালির স্বাধীনতাকে।

    অথচ বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের জন‌্য কাজ করেছেন। তার জীবনে ক্ষমতার কোনো লোভ ছিলো না। তিনি দেশের মানুষের জন‌্য আত্মত‌্যাগের নজির রেখে গেছেন।

    শত কষ্টের পরও কোথাও অন‌্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি বঙ্গবন্ধু। পূর্ব বাংলার মানুষের কষ্ট তিনি সহ‌্য করতে পারেননি। ক্ষমতা, পদ-পদবীর লোভের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি মানুষের জন‌্য কাজ করে গেছেন।

    হার না মানার পাত্র নন তিনি, বাঙালির বিজয় নিশ্চিত করেই শান্ত হয়েছেন। এ কারণে তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায়ও মনোবল হারাননি। অথচ এই আগস্টেই জাতির কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নিয়েছিলেন ঘাতকের দল।

    দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ছিলো বঙ্গবন্ধুর। তাইতো জীবনে আরাম-আয়েস সুখের কথা কখনো ভাবেননি। কেবল ভেবেছেন দেশের মানুষের কথা, দেশের মানুষের সুখ-শান্তির কথা।

    Image 10000 28

    সে সময় যদি শেখ হাসিনা কিংবা শেখ রেহানা দেশের বাইরে না থাকতেন তাহলে তাদের জীবনও বিপন্ন হবার সম্ভাবনা ছিলো। দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরও তারা শঙ্কা মুক্ত নন। একের পর এক আক্রমণ হয়েছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর। যা খুব দুঃখজনক। কিন্তু বাঙালির দোয়া আর সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে কোনবারই ঘাতকের দল সফল হতে পারেনি।

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাঙালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে কেউ হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একইসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া যেমন এদেশ কল্পনা করা যায় না। তেমনই বর্তমান প্রেক্ষিতে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে ছাড়া এদেশ ও দেশের উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না।

    যাতে এদেশে আর কোনদিন মার্শাল ল’ কিংবা আরেকটি ১৫ট ই আগস্টের পুনরাবৃত্তি না ঘটতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখনো সেই ঘাতকের দল ও কিছুসংখ্যক গোষ্ঠী মাথা নাড়া দিয়ে উঠতে পারে এবং তাদেরকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এবং আমরা দমন করবোই করবো।

    পরিশেষে, মহীয়সী কবি সুফিয়া কামালের কবিতার সাথে মিলিয়ে আমিও বলি-
    “এই বাংলার আকাশ-বাতাস, সাগর-গিরি ও নদী
    ডাকিছে তোমারে বঙ্গবন্ধু, ফিরিয়া আসিতে যদি
    হেরিতে এখনও মানবহৃদয়ে তোমার আসন পাতা
    এখনও মানুষ স্মরিছে তোমারে, মাতা-পিতা-বোন-ভ্রাতা।”

    লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

    প্রতি মুহূর্তের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram পেজ

    © এই নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    / month
    placeholder text

    সর্বশেষ

    রাজনীাত

    বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য বিদেশে হাসপাতাল খোজা হচ্ছে

    প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্যে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন আবেদনে সরকারের দিক থেকে ইতিবাচক...

    আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

    আরো পড়ুন

    Leave a reply

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    spot_imgspot_img