More

    উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সম্মেলনে ০৯ অক্টোবর

    • সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে

    লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

    দীর্ঘ ১৯ বছর পর লালমনিরহাট সদর উপজেলা আওয়ামিলীগের সম্মেলন ০৯ অক্টোবর হতে যাচ্ছে। সম্মেলন ঘিরে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা নতুন ভাবে উজ্জীবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে সভাপতি ও সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

    আগামী ০৯অক্টোবর লালমনিরহাট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছড়িয়ে পডেছে।ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডঃ নজরুল ইসলাম রাজু সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা স্বপন, সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব,মেহেদী হাসান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে ইউনিয়ন কমিটির নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় শুরু করেছেন।

    দীর্ঘ দিন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনের নেতা কর্মীরা অভিভাবকহীন কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।দেরিতে হলেও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এই খবরে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা নতুন করে সংগঠন মুখী হয়েছে।

    লালমনিরহাট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে,সেই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজমা রহমান।লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ দ্বিধা বিভক্ত থাকায় সভাপতি – সম্পাদকের নাম ঘোষনা না করেই কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলন শেষ করেন।

    পরবর্তীতে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলাল এবং সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম শফির নেতৃত্বে সদর উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়, জেলা কমিটি কে পাশ কাটিয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষর করে অনুমোদন দেন উপজেলা কমিটির।

    ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে ভোট করেন,জেলা কমিটি অ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম শফিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করে, কমিটির ০১নং যুগ্ন সম্পাদক অধ্যাপক সরওয়ার আলম ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হিসেবে পরবর্তী সম্মেলন পযন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেন।

    জেলা সম্মেলনের আগে ২০১৩ সালের ২২ডিসেম্বর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সেই সম্মেলন ঘিরে দলের মধ্যে প্রকাশ্য গ্রুপিং আকার ধারন করে। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রংপুর বিভাগের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সম্মেলন স্থলে সভাপতি হিসেবে গোলাম মোস্তফা স্বপন ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে জহুরুল হক মামুনের নাম ঘোষনা করে, জেলা সম্মেলন পরবর্তী জেলার নেতৃবৃন্দ উপজেলা কমিটিকে অস্বীকার করেন।একারনে উপজেলা আওয়ামিলীগ সংগঠন বিহীন কার্যত দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে।

    ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলাল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন,তারপরে নানা কারনে উদ্যোগ নেওয়া হলেও জেলার নেতৃবৃন্দ ঐক্য মতে পৌছতে না পারায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। লালমনিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব দানকারী দুজন নেতা জহুরুল হক মামুন ও ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ দুলাল ইতিমধ্যে মৃত্যু বরণ করেছেন।

    দীর্ঘদিন অভিভাবক হীন থাকায় তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামিলীগের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ে।নেতৃত্ব না থাকায় সংগঠনের নেতা কর্মীরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, মান অভিমানে অনেকটা সংগঠন বিমুখ দলের নিবেদিত কর্মীরা, এই সুযোগে দলের ভিতরে প্রবেশ করেছে বিএনপি থেকে আগত হাইব্রীড সুবিধা বাদীরা, তাদের কাছে দল অনেকটাই জিম্মি, যার প্রভাব পড়েছে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে এমনটাই মনে করেন দলের তৃণমূল নেতা কর্মীরা।

    দীর্ঘ ১৯বছর পর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্নাঙ্গ সম্মেলন এবার হবে বলে মনে করেন দলটির নেতা কর্মীরা। এই সম্মেলন ঘিরে ইতিমধ্যে একাধিক প্রার্থী সভাপতি, সম্পাদক হিসেবে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। সভাপতি হিসেবে ইতিমধ্যে ০৫জনের নাম জোড়ালো ভাবে এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে ০২ জনের নাম শোনা যাচ্ছে।

    সভাপতি পদে মহিষখোচা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার আলম, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ দুলালের পুত্র ও ড.তানভীর ফেরদৌস সাইদ, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবীর, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সমাজ সেবক, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও প্রভাব শালী নেতা সাখোয়াত হোসেন সুমন খান, এবং সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা স্বপন সভাপতি হিসেবে প্রার্থী হবার জোড় গুঞ্জন রয়েছে।

    সাধারন সম্পাদক হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানের ভাতিজা এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক জাবেদ হোসেন বক্করের নাম শোনা যাচ্ছে।

    সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে জাতীয় চার নেতা কামরুজ্জামানের নাতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলালের পুত্র ড.তানভীর ফেরদৌস সাইদের নাম, তার বাবা এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন, একজন নিরেট ভদ্রলোক হিসেবে এই এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন, বাবার মত এই অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তানভীর ফেরদৌস সাইদ, তার নিজস্ব অর্থায়নে ৫০টি রিক্সা ১০টি গরু ইতিমধ্যে তিনি দান করে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সবুজ সংকেত পেলে সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন। এলাকায় অবস্থান না করায় পরিচিতি কম বলে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।

    সভাপতি পদে শক্তিশালী প্রার্থী হবেন জেলা কমিটির যুগ্ন -সম্পাদক এবং প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা সাখোয়াত হোসেন সুমন খান। মাঠ পর্যায়ে দলের নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে তার অবদান রয়েছে দলে, নেতা কর্মীদের বিপদে আপদে পাশে থাকার পাশাপাশি বর্তমানে দলের নির্ভর যোগ্য ব্যাক্তি হিসেবে তার প্রভাব রয়েছে। দলের প্রয়োজনে দুহাতে অর্থ ব্যায় করেন বলে সাধারন কর্মীরা তার প্রতি আস্থাশীল।আগামী নির্বাচন কে কেন্দ্র করে।

    প্রতি মুহূর্তের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram পেজ

    © এই নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
    / month
    placeholder text

    সর্বশেষ

    রাজনীাত

    বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য বিদেশে হাসপাতাল খোজা হচ্ছে

    প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্যে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন আবেদনে সরকারের দিক থেকে ইতিবাচক...

    আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

    আরো পড়ুন

    Leave a reply

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    spot_imgspot_img