প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক:
কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত যেসব রোগীরা হাসপাতালে ভর্তির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট ব্যবহারের জোর সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচও এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যারা করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেননি, বয়স্ক বা যাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে প্যাক্সলোভিড ভালো ফল দেয়।
তবে গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটি কতোটা কার্যকর সে বিষয়ে জানা যায়নি। এ ধরনের অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসার সীমাবদ্ধতার বিষয়টি তারা তুলে ধরেছেন।
তারা বলেছেন, রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই শুধু এই ওষুধ দেওয়া যাবে।
তার মানে হলো, রোগীদের অবশ্যই দ্রুত কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরপরই রোগীকে এই ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেবেন চিকিৎসক।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যাতে হাসপাতালে ভর্তি হতে না হয়, সেজন্য কিছু বিকল্প ট্যাবলেট রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ফাইজারের মুখে খাওয়ার ওষুধটি বেশি কার্যকর।
প্রায় ৩১০০ রোগীর ওপর পরিচালিত দুটি ট্রায়ালের ফলাফলের ভিত্তিতে প্যাক্সলোভিড নিয়ে নতুন এই সুপারিশটি করেছে ডব্লিউএইচও। ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে প্যাক্সলোভিড।
১৮ বছরের বেশি বয়সীদের প্যাক্সলোভিড ওষুধটি দেওয়া যাবে। বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে যে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এই ওষুধ দেওয়া যাবে না। তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা কম হওয়ায় এই ওষুধ না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারির অবসানে মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে আসার বিষয়টিকে সম্ভাব্য বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।