প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক:
দিমিত্রি কোখ, একজন রাশান বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার। তিনি রাশিয়ার নির্জন রেঞ্জেল দ্বীপে পৌঁছানোর জন্য চুকোটকার উপকূলের চারপাশে ১,২০০০ মাইলেরও বেশি ভ্রমণ করেন।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, র্যাঞ্জেল দ্বীপ ইউনেস্কোর সুরক্ষার অধীনে একটি প্রকৃতি সংরক্ষণ যা তার বিশাল মেরু ভালুকের আবাসস্থলের জন্য পরিচিত। খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হবার দরুণ ফটোগ্রাফার কোখ চুকচি সাগরে অবস্থিত কোলিউচিন দ্বীপে একটি চক্কর দিয়েছিলেন।
সেখানেই তিনি একদল মেরু ভালুককে দ্বীপে স্থাপিত প্রাক্তন আবহাওয়া স্টেশনের ভেতর অবস্থান করতে দেখেছিলেন। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত যুগ শেষ হওয়ার আগে আবহাওয়া স্টেশনগুলো সেখানে কাজ করছিল।
দিমিত্রি কোখ তার অভিযান পরিকল্পনার জন্য দুই বছর সময় নিয়েছিলেন। তিনি নির্জন দ্বীপে প্রাণীদের ছবি তোলার জন্য বিশেষ কম-শব্দ প্রপেলার দিয়ে সজ্জিত একটি ড্রোন ব্যবহার করেছিলেন।
অতঃপর তিনি সেই প্রাণীদের (মেরু ভালুক) ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন যারা আবহাওয়া স্টেশনকে তাদের বাড়ি বানিয়েছিল। তিনি বলেন, সেখানে প্রায় ২০টি মেরু ভাল্লুক ছিল, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ।
মেরু ভালুকগুলোকে তিনি ১৯৩০-এর দশকে নির্মিত পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের চারপাশে হাঁটতে দেখতে পান। এমন দৃশ্যকে তিনি ‘জীবনকালীন পরিস্থিতিতে একবার’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
নিজস্ব বøগে জনাব কোখ উল্লেখ করেন: ‘আমি সবসময় মেরু ভালুকের কিছু সুন্দর শট পেতে চেয়েছিলাম এবং এটাই ছিল আমাদের অভিযানের মূল লক্ষ্য।
’অসংখ্য ভালুকের আবাসস্থল হিসেবে সারা বিশ্বে বিখ্যাত র্যাঞ্জেল দ্বীপে আমরা মেরু ভালুকের দেখার আশা করেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতি সর্বদা আপনাকে কিছু দেবে যখন আপনি এটি আশা করেন।
যখন আমরা চুকোটকার উত্তর উপকূলের কাছে কোলিউচিন দ্বীপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমরা জানালা থেকে কিছু নড়াচড়া দেখেছিলাম। যখন আমরা কাছাকাছি গেলাম, দেখলাম সেগুলো ভালুক ছিল!’
‘এর আগে কখনও তাদের ওই ভবনগুলিতে দেখা যায়নি।’ ফটোগ্রাফারের দ্বারা ধারণ করা চিত্রগুলোতে দেখা যাচ্ছিল যে মেরু ভাল্লুকগুলি পরিত্যক্ত আবহাওয়া স্টেশনের বাইরে বসে কৌতূহলীভাবে ড্রোন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে। অন্যদের একটি খোলা জানালা থেকে উঁকি মারতে দেখা গেছে।