প্রভাতী সংবাদ ডেস্ক:
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ এপ্রিল) আফগানিস্তানের কুন্দুজে একটি সুন্নি মসজিদে বোমা হামলায় ৩৩ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘হামলার পর মসজিদের দৃশ্যটি ছিল ভয়াবহ।’
তালেবান সরকারের তথ্যমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানান । শুক্রবারের হামলা ছিল গত বছর আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর সবচেয়ে বড় এবং আফগানিস্তানজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার সর্বশেষ ঘটনা।
কুন্দুজের মসজিদে নামাজ পড়তে জড়ো হওয়া মুসল্লিদের ওপর চালানো এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানজুড়ে চারটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে সেসব হামলার সবগুলোরই দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ধর্মীয় উপসনালয়ে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তালেবান সরকার।
এর আগে গত অক্টোবরে একটি শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় ৫৫ জন নিহত এবং আহত হন আরও অনেকে। সেই হামলার দায় স্বীকার করে আইএস। এসব হামলার দায় স্বীকার করে আইএস বলেছিল, এটি তাদের সাবেক নেতা ও মুখপাত্রের মৃত্যুর ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী চলমান হামলার একটি অংশ।
গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানে বোমা হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। আইএস তালেবানের মতো সুন্নি দল হলেও পরস্পর তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। এদের মধ্যে বড় আদর্শগত পার্থক্য হলো তালেবানরা শুধু বিদেশি বাহিনী মুক্ত আফগানিস্তান চেয়েছিল, যেখানে আইএস একটি ইসলামী খেলাফত চায়।
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবান বলেছে যে, তারা জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে পরাজিত করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের কাছে এখনও একটি প্রধান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।