নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যাট হাতে যে কোন পজিশনে সাবলীল ব্যাটিং করতে পারার দারুণ এক দক্ষতা আছে তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদি হাসানের। সেটা হোক ঘরোয়া ক্রিকেট বা আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ, দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলতে সিদ্ধহস্ত ডানহাতি এই ক্রিকেটার। নিজের এমন গুণের পক্ষে প্রমাণও রেখেছেন বেশ কয়েকবার। তবে ব্যাট হাতে ছোটখাট ক্যামিও দেখাতে পারলেও নিজের নামের সুবিচার করতে পারেননি এখনও। তারপরও তরুণ এই হার্ড হিটারের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না টাইগার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
টাইগার কোচের মতে, মেহেদি একজন ফ্রি ক্রিকেটার। তাকে দলের প্রয়োজনে টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার অথবা লোয়ার অর্ডার, যে কোনো জায়গায় খেলানো যায়। তরুণ এই ক্রিকেটারের মানসিকতা এবং বড় শট খেলার দক্ষতা আছে। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও খেলেছিলেন ওপেনার হিসেবে, নেমেছেন চার-পাঁচ থেকে সাত নম্বরেও। তবে নিজের জায়গায় নজর কাড়ার মতো কিছু না করলেও দলের অবস্থা এবং চাহিদা অনুযায়ী মেহেদির পারফরম্যান্সে বিশ্বাস রাখছেন টাইগার কোচ।
মেহেদির প্রশংসা করে টাইগার কোচ বলেন, ‘সে (মেহেদি) আমাদের জন্য বলা যায় একজন ‘ফ্রি’ ক্রিকেটার। তাকে আমরা যদি টপ অর্ডারে পাঠাই, সে ১২ বলে ২০ রান করলেও দলের জন্য তা বড় অবদান।
সে আমাদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছে। আমি জানি, সে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দারুণ করেছে। তবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আসা অনেক বড় পদক্ষেপ।’
ব্যাট হাতে বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪ ম্যাচে ১১ বার ব্যাটিং করে ৯৯.১৬ স্টাইক রেটে করেছেন ১১৯ রান। ১৩.২২ গড়ে রান করা মেহেদির সর্বোচ্চ স্কোর ২৩ রান। মেহেদির ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টি সুলভ নয় এবং এখনও তিনি বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, তবু তার ব্যাটিং নিয়ে ভাবছেন না কোচ।
টাইগার কোচ বলেন, ‘তার ব্যাটিং নিয়ে আমার ভাবনা নেই। নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে সে গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও খেলেছে। আমাদের যখনই মনে হবে যে ওপরের দিকে একটু আগ্রাসন বা বিস্ফোরক কিছু করে রান রেট বাড়ানো দরকার, আমরা তাকে কাজে লাগাব।
তবে দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে যে সবসময় মেহেদি কার্যকর থাকবে এমনটা ভাবছেন না টাইগার কোচ। এছাড়া মেহেদিকে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নতুন বল থেকে পুরোনো বল সবক্ষেত্রেই বাঁ হাতি যেকোনো ব্যাটারের বিপক্ষে ব্যবহার করতে পারবে দল। আর বল হাতে সেই সুযোগটারও সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে ৮.১১ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ১০ উইকেট। ঘরের মাঠে বল হাতে আরো বেশি কার্যকর বড় শট খেলতে পারা এই অলরাউন্ডারের।