প্রভাতী বার্তাকক্ষ:
ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়ী টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা। রতন টাটা চিরকুমার। তার বিয়ে না করার কারণে পিছনে আছে অন্য এক অজানা কাহিনী।
রতন টাটা জানিয়েছিলেন নিজের জীবনের এক সুন্দর অধ্যায়। তিনিও প্রেমে পড়েছিলেন একটা সময়, এমনকি বিয়ের কথাও এগিয়েছিল কিন্তু তা শেষমেশ সফল হয়নি।
১৯৩৭ সালে গুজরাটের সুরাটে জন্মগ্রহণ করেন রতন নাভাল টাটা। ছোটবেলাটা আর পাঁচটা শিশুর মতই কেটেছে তাঁর। কিন্তু তাঁর যখন দশ বছর সেই সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর বাবা-মায়ের। তারপর থেকে ঠাকুমার বড় হয়ে ওঠা রতন টাটার ও তাঁর ভাইয়ের।
তাঁর জীবনের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তে পাশে ছিলেন ঠাকুমা। এমনকি ঠাকুমার শেখানো নীতিবোধ আজও রতন টাটাকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলে। তিনি চেয়েছিলেন’ আর্কিটেকচার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে পড়তে কিন্তু তাঁর বাবা নাভেল টাটা চেয়েছিলেন তাই ছেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করুক। সেই সময়ে ঠাকুরমার কথায় অবশেষে আর্কিটেকচার নিয়ে স্নাতক হন রতন টাটা।
স্নাতক পাশ করার পর, দু’বছরের জন্য লস এঞ্জেলেসে কাজ করেছিলেন তিনি, আর সেই সময়েই এক মার্কিন সুন্দরীর প্রেমে পড়েছিলেন রতন টাটা। তাঁর কথায় সেই সময়টা তার জীবনের সবথেকে সুন্দর সময় ছিল। তাঁর কাছে তখন বাড়ি গাড়ি কাজ সব ছিল।
কিন্তু বিয়ের কথার সময়ে হঠাৎ করেই রতন টাটার ঠাকুরমার শরীর খারাপ হয়ে যায়, এবং তিনি দেশে ফেরত আসেন। তবে তাঁদের প্রেম কিন্তু সমাপ্ত হয়নি, কথা ছিল রতন টাটা দেশে আসার পরেই তাঁর প্রেমিকাও দেশে আসবে এবং একসাথে এই দেশেই সংসার পাতবে তাঁরা। এই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিল সেই তরুণীর পরিবার।
তবে ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধ বাঁধলে রতন টাটার প্রেমিকার পরিবার আর তাঁদের মেয়েকে ভারতে পাঠাতে চাননি। যার ফলে ভেঙে যায় তাঁদের সেই সুন্দর সম্পর্ক।
তারপরে আর বিয়ে করেননি রতন টাটা, আজীবন অবিবাহিতই থেকে যান।
তার প্রেম কাহিনী নিয়ে নেট দুনিয়া দারুণ উদ্ভাষিত। হচ্ছে আলাপ-আলোচনা। দারুণ কাহিনী’তে মোহগ্রস্থ নেট দুনিয়া।