দেবযানী ঘোষ:
নিস্তব্ধতার কিছু গল্প আছে। আঁধারেরও কোনো রং আছে। এই পৃথিবীতে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত শব্দ থেকে আবার সমাধান ও তাই। কিন্তু যদি কারো নৈঃশব্দের পৃথিবীতে হঠাৎ প্রবেশ করে অবাঞ্ছিত শব্দেরা ,তখন কি হয় তার অনুভূতি? চেনা সমীকরণ বদলে যায়! দৈনন্দিন সহজ, সরল, ছন্দে – যতিচিহ্ন পড়ে। সুর কেটে যায়, তার ছিঁড়ে যায়। তখন জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
Human psychology এর এই দিকটাতেই আলোকপাত করতে চেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা শিহাব শাহীন তাঁর এবারের ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নির্মিত নাটক “”” নিঃশব্দের আলো “”” তে।
মূক ও বধির চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। এই প্রসঙ্গে শিহাব শাহীন জি বলেন “”” সেট এ একজন Sign language expert ছিল। রাচি। সে দেখিয়ে দিত এবং অপূর্ব করতো ।প্রচুর পরিশ্রম করে এমন একটি ত্রুটিহীন কাজ অপূর্ব সম্পূর্ণ করেছে।
অপূর্ব কেই কেন নির্বাচন করা হলো এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন যে “”” এর আগে অপূর্ব আমার সাথে sign language এর কাজ করেছে। “””
এমন চরিত্রকে ধারণ করা এবং তা একেবারেই সীমিত সময়ের মধ্যে এবং রাগ, অভিমান, হতাশা, বিষাদ, মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রনা, ভালোবাসা, ইত্যাদি সমস্ত দিক তুলে ধরা সত্যিই ভীষণ কঠিন।
বিশেষ করে এমন মানুষেরা এত বেশি সংবেদনশীল হন সেই অভিব্যক্তি পরিস্ফুট করে তোলা একজন দক্ষ শিল্পীর পক্ষেই সম্ভব। খুব ভালো লাগলো এরকম একটি সামাজিক ও মানবিক দিক সংস্কৃতির মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য নির্মাতাকে সাধুবাদ।
অপূর্ব র স্ত্রী এর চরিত্রে ছিলেন সাবিলা নূর ও একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকী ছিলেন মায়ের ভূমিকায়। অনেক অনেক শুভকামনা পুরো টিমের জন্য।
আশা রাখি এমন কাজ দর্শকমহলে প্রশংসিত হবে। আগামী দিনেও এই নির্মাতা ও অভিনেতার কাছে এমন কিছু প্রত্যাশা রাখবে দর্শকগণ।
লেখক: কবি, কথা সাহিত্যিক, গায়িকা ও শিক্ষিকা