সালমা বীথি
পশ্চিম আকাশে সূর্যের অস্তাচলের অবশিষ্ট ক্ষীণ আভাটুকু মিলিয়ে ঘন খন্দকারেও শফি আকবর মনে করার চেষ্টা করেন ঠিক কতোদিন তার সূর্যের আলো দেখা হয় না কিন্তু প্রবল আঁধারে চেয়ে থাকা জনপদে মনে করতে পারেন না।
শিল্পী দম্পতি নাসিমা আকবর ও শফি আকবরের দুর্দশার গল্পে লেখক তুলে এনেছে পূর্ববর্তী থেকে তৎকালীন সাম্প্রদায়িকতার কথা, ধর্মের অপব্যবহারে শরীয়ত আর পলিটিক্স মিশে তৈরি হয় নোংরা রাজনীতি।
বয়স্ক ক্রীড়াপরায়ন মিজানী ছাহেবের বহু পুরনো অতিবাধ্য কসাই সঙ্গী খাদেম যে কিনা মিজানীর প্রথম বউ গত হওয়ার ত্রিশ বছর পরেও বৃদ্ধ লোকটির তৃতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু বিয়ে করার কারণ কী সঙ্গীর অভাব নাকি রাজনৈতিক ক্ষমতার কুপ্রবৃত্তি? কী হয়েছিল তৃতীয় বউ নাজিফার? হেরে গেল কী মিজামীর হিংস্রতার কাছে?
হঠাৎ অন্ধকারে শফি শুনতে পায় একদল তরুণ তরুণীর মুক্তির ডাক। রোমাঞ্চিত বোধ করেন বহুদিন পরে স্ত্রীর সাক্ষাৎ পাবেন ভেবে অনেক দীর্ঘ দিবস ও রজনীর অবসান হবে।
উপমহাদেশের ক্রমপ্রসারমাণ এক অন্ধকার শক্তির একশ বছরের লেখকের দৃষ্টিতে দৃশ্যমান ভবিষ্যৎবাদী উপন্যাস।
তাহলে কি যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক কালো শক্তি জিতে যায়, কখনো না, সবশেষে কী হয় আকবর দম্পতির? অন্ধকারে ছেয়ে যাওয়া জনপদ কি অন্ধকারেই তলিয়ে যায়? রাজনৈতিক কারণে ধর্মের অপব্যবহার মানুষকে কতোটা হিংস্র করে তোলে?
লেখক দৃষ্টিতে লেখা আছে “অন্ধকারের একশ বছর” উপন্যাসে।
সন্দেশ প্রকাশনি।
উৎসর্গ: জাহানারা ইমামের অমর স্মৃতির উদ্দেশ্যে।